লাইট নিউজ প্রতিবেদক : করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে পোল্ট্রি শিল্পে ব্যাপক ধস নামে। তখন কোনো কোনো জায়গায় ব্রয়লার মুরগির কেজি ৪০-৫০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। দাম কমে যাওয়ায় নতুন উৎপাদন বন্ধ করে দেন খামার মালিকরা। ফলে বর্তমানে দেশের অধিকাংশ খামারে নতুন কোনো মুরগি নেই। অনেক খামার বন্ধ হয়ে আছে।
এমন অবস্থায় মুরগির সংকট পড়ে যাওয়ায় লোকসান কমাতে বাজারে থাকা অন্য মরগির দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে শুধু রোজার মাসেই পোল্ট্রি মুরগির দাম ৮২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। রোজার আগে মুরগির কেজি ছিল ১১০ টাকা। সেটি এখন ঈদ উপলক্ষে বেড়ে ২০০ টাকা ছুঁয়েছে।
আজ রোববার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গতকাল শনিবার ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল কেজি প্রতি ১৭০-১৮০ টাকা। কিন্তু আজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ একদিনেই ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে লাল লেয়ার ও পাকিস্তানি কক মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং ঈদ উপলক্ষে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়া ঈদের কারণে এখন ব্রয়লারের চাহিদা বেশি। তাই লোকসান কমাতে সুযোগ বুঝে দাম বাড়ানো হয়েছে।
কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, করোনার কারণে অনেক খামার মালিক নতুন করে উৎপাদনে যাননি। ফলে খামারে মুরগির পরিমাণ কমে গেছে। সংকটের কারণে ইতোমধ্যে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে ঈদ উপলক্ষে মুরগির চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে।
লাইট নিউজ/আই