প্রতিবছর এই সময় ইলিশে সয়লাব থাকে কলকাতার মাছ বাজারগুলো। কিন্তু করোনার কারণে নেই মাছের যোগান। যাও পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দাম নাগালের বাইরে। মহামারির প্রভাব পড়েছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারেও। বেশিরভাগ মানুষ এখনও ঘরে বসে অফিস করায় ল্যাপটপ, প্রিন্টারসহ প্রযুক্তি পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
দক্ষিণ কলকাতার ব্যস্ততম বাজার গড়িয়াহাট। বর্ষার শুরু থেকে প্রতিদিন গড়ে এই বাজারে ইলিশ আসতো ৩ থেকে ৫ টন। প্রায় শতভাগ মাছ বিক্রেতার সামনেই সাজানো থাকতো থরে থরে ইলিশ।
কিন্তু করোনার কারণে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। জেলেরা মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। প্রতিকূল আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্রে মাছ ধরাতেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
কেবল ইলিশের বাজার নয়, কোভিড ঊনিশের প্রভাবে পাল্টে গেছে দৈনন্দিন জীবনযাত্রাও। লকডাউন উঠে যাওয়ার পরও অনেকেই অফিস করছেন ঘরে বসে। এতে বেড়ে গেছে কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা।
এদিকে, শুক্রবারও ভারতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের দেহে মিলেছে কোভিড ঊনিশের অস্তিত্ব। মারা গেছেন সাড়ে তিন শতাধিক। দেশটিতে, এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪ লাখ। প্রাণ গেছে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের।