বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিপর্যয়ের মধ্যেও আলোচনায় চীন-ভারত উত্তেজনা। মাসখানেক ধরে চলা স্নায়ুযুদ্ধটা গত ১৫ জুন গড়ায় সত্যিকারের যুদ্ধে। লাদাখ সীমান্তের ওই সংঘাতে ভারতের অন্তত ২০ জন সেনা সদস্য মৃত্যুবরণ করেন, আহত হয়েছেন আরো ৭৬ জন। অন্যদিকে চীনের কোনো সৈন্যের আহত কিংবা নিহত হওয়ার খবর জানা যায়নি। তবে গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, যারা ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছিল তাদেরকে চরম শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনলাইনে আয়োজন করা ওই বৈঠকে দেশটির সব বিরোধী দলের প্রধান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে মুখ খুলেছেন মোদি। তিনি বিরোধী দলগুলোকে আশ্বস্ত করে বলেন, দেশের সীমান্ত কেউ লংঘন করতে পারেনি বরং চীনা সেনারা আমাদের সেনাদের প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি মৃত সেনা সদস্যদের ‘বীর’ আখ্যা দিয়ে বলেন- প্রমাণ হয়েছে, দেশের জন্য আমাদের সেনারা জীবন উৎসর্গ করতে কুণ্ঠাবোধ করেন না। দেশকে রক্ষা করার জন্য যা যা করা দরকার তাই তাই করবে আমাদের সেনারা। সীমান্ত পাহারা দেওয়া জওয়ানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা মনোবল হারাবেন না, পুরো দেশ আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।
বিরোধী দলগুলোর আশঙ্কার জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আমাদের সেনারা। সংঘাতের পর সেখানে আরো বাড়ানো হয়েছে সেনা টহল। ভারতের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ দখল করতে পারবে না। দেশপ্রেমিক সেনাদের ওপর আপনারা ভরসা রাখতে পারেন।