টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
এতে তিস্তা পাড়ের নিম্নাঞ্চল ও চরের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, উজানের ঢলে তিস্তার পানি আজ (শুক্রবার) সকাল ৬ টার দিকে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯ টায় ৮ সেন্টিমিটার কমে ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবড়ি, খালিশাচাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানী ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, কৈইমারী, শৌলমারী ইউনিয়নের চর গ্রামগুলোর প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা।
খালিশা চাপানি ইউনিয়নের মকছেদ উদ্দিন (৩৫) বলেন, গত ২ দিন ধরে আমরা পানিবন্দি হয়ে আছি। তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
একই এলাকার ভানু বেগম (৫৫) বলেন, ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকেছে। চুলায়ও পানি। রান্না করার কোন উপায় নাই। বাচ্চা-কাচ্চাদের খাওয়ানোরও ব্যবস্থা নাই। জরুরি শুকনো খাবার ও ত্রাণ দরকার।
আবুল কাশেম (৪২) বলেন, বন্যায় চারদিকে ডুবে গেছে। গরু ছাগলের খাবার ও থাকা নিয়ে সমস্যায় আছি।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ জানান, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় প্লাবিত মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার ও ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে।