শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন

তৃণমূল পর্যায়েও অধিক সংখ্যায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হবে

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমিউনিটি লেভেলে (স্থানীয় পর্যায়ে) ছড়িয়ে পড়েছে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সন্দেহভাজন করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ল্যাবরেটরিতে এতদিন শুধু বিদেশফেরত যাত্রী ও তাদের সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হতো। বাস্তবে ভাইরাসটি তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা জানতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও কমিউনিটি লেভেল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখবেন তারা।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২১ জানুয়ারি থেকে বুধবার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর ও রেলস্টেশন দিয়ে সাড়ে ছয় লক্ষাধিক দেশি-বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। লাখ লাখ যাত্রী দেশে ফিরলেও করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আইইডিসিআর ল্যাবরেটরিতে বিদেশফেরত মাত্র ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ১৪ জন শনাক্ত ও একজন মারা যায়।

স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে জানান, লাখ লাখ মানুষ বিদেশ থেকে ফিরলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা পরীক্ষায় মাত্র ১৪ জন শনাক্ত হয়েছেন, তা বিশ্বাস করা মুশকিল।

তারা বলেন, বিদেশফেরত যাত্রীদের বারবার ১৪ দিন স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার কথা বলা হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবাসফেরত বাসিন্দারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে ওই ব্যক্তির মাধ্যমে সমাজে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বুধবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বাড়তে পারে। তবে সংক্রমণ এখনও পারিবারিক পর্যায়ে রয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিউনিটি লেভেলে করোনোভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা জানতে আইইডিসিআরের পাশাপাশি আইসিডিডিআরবি, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে অধিক সংখ্যায় নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষা করবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জেলা পর্যায়ে ল্যাবরেটরি স্থাপিত হবে।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চিকিৎসক ও নার্সদের পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহ, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের বিশেষভাবে মোটিভেট করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আল্লাহ না করুক রোগ ছড়িয়ে পড়লেও তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD