বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন

পাকা আমে সয়লাব বরগুনার বাজার!

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২

বরগুনা জেলা শহরের অধিকাংশ ফলের দোকানে মিলছে পাকা আম। যদিও এই সময়ে আম গাছে মুকুল ধরেছে মাত্র। তারপরও বাজারে মিলছে পাকা আম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে অপরিপক্ক আম পাকানো হয়েছে।

রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেলে বরগুনা পৌর ফল বাজারের বেশিরভাগ দোকানে দেখা গেছে, আম সাজিয়ে হাঁক-ডাক দিয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ক্যাটাগরি ভেদে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে এ সব আম বিক্রি হচ্ছে।

আম কিনতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সারা দিন রোজা রেখে ইফতারিতে আম অথবা আমের জুস বাড়তি স্বাদ যোগ করে। তাই অসময়ে আম দেখে লোভ সামলাতে পারেননি তারা। এসেছেন আম কিনতে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরগুনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, বরগুনায় হাতে গোনা কয়েকজন ১২ মাসে ফলনশীল আম চাষ করেছেন। যারা বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করেছেন, সেই সব গাছে মাত্র মুকুল এসেছে। বাজারে এখন পাকা আম থাকার সুযোগ নেই। হয়তো অসাধু ব্যাবসায়ীরা অপরিপক্ব আমে রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকিয়েছে।

পৌর ফল বাজারের মেসার্স মাহিন স্টোরের মালিক লিটন মিয়া জানান, এ আম বরগুনার নয়। তারা উত্তরাঞ্চল থেকে এনেছেন। তবে তিনি কোনো জেলার নাম উল্লেখ করেননি। ফলে রাসায়নিক মেশানোর অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা মেশায় না। আমরা এভাবে পাকা কিনে আনি।’

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, রাসায়নিক পদার্থ মেশানো আম মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে কিডনি ও ডায়বেটিস রোগীদের জন্য এসব আম ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। এ সব রাসায়নিক মেশানো আম খাওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, মোবাইল কোর্ট বাজারে কাজ করছে। কেউ রাসায়নিক ব্যবহার করে আম পাকালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা কৃষি অফিস জানান, কৃষিবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কৃষকরা গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে পারবেন। আম সংগ্রহের সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়া হবে। তার আগে কেউ অপরিপক্ক আম সংগ্রহ করে বিক্রয় করা হলে সেটা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে এবং প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD