চট্টগ্রাম নগরীতে গতকাল সামান্য বৃষ্টিতে পথঘাট ডুবে যায়, কোথাও কোথাও ঘরবাড়িতেও ঢুকে পড়ে পানি। বাকলিয়া এলাকা থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নগরীর বেশ কয়েকটি স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এ ছাড়া ঈদের ছুটির আমেজ না কাটায় সড়কে খুব বেশি যানবাহনও ছিল না। তাই ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে গন্তব্যে যেতে অফিসমুখো মানুষকে পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ।
জলাবদ্ধতার কারণে হাঁটুপানি ডিঙিয়ে কর্মস্থলে গেছেন অনেকেই।
সকাল সাড়ে ৫টা থেকে নগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়। থেমে থেমে চলে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এতে নগরীর শুলকবহর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, চকবাজার, বাকলিয়া, ডিসি রোডসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তায় পানি জমে যায়।
একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী থেকে এসে অফিস করব। কিন্তু ভোর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। রাস্তায় যানবাহন কম থাকায় ভিজতে ভিজতে অফিসে পৌঁছেছি।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের উপপরিচালক আবুল হাসনাত জানান, বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নগরীতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। এর মধ্যে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (সিডিএ)।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতাবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, সকালে কোথাও কোথাও পানি জমে ছিল। মুরাদপুর থেকে ২ নম্বর গেট পর্যন্ত খাল ভরাট করে রিটেইনিং ওয়ালের কাজ চলছে। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুর্ভোগ কমবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ কারণে চট্টগ্রামে বৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপটির গতি-প্রকৃতিসহ সার্বিক অবস্থা জানা যাবে ৮ মের পর।