ব্যাট-বলের লড়াইয়ে কেউ কাউকে সামান্য ছাড় দিতে চায় না। জিততে মরিয়া থাকে দলের সবাই। এর জন্য প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের স্লেজিংয়ের অভিযোগও উঠে প্রায়শই। লেগে থাকে তর্ক-বিতর্ক। তবে সেটা খেলা পর্যন্তই। কারণ মাঠের বাইরে এক দলের খেলোয়াড়দের সাথে অন্য দলের খেলোয়াড়ের সুসম্পর্কই থাকে বেশিরভাগ সময়। থাকে বাড়তি ভালোলাগা, শ্রদ্ধাবোধ। তাই একজনের বিদায়ে ব্যথিত হন অন্যজন।
এমনটাই ঘটেছিল শচিন টেন্ডুলকারের শেষ ম্যাচে। সেদিন আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন ওয়েস্ট-ইন্ডিজের ব্যাটিং দানব খ্যাত ক্রিস গেইল। এমনকি সানগ্লাসের আড়ালে কেঁদেছিলেন এই মারকুটে ওপেনার।
মুম্বাইয়ে ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন শচিন। ঘরের ছেলেকে বিদায় দিতে স্বভাবতই অন্যরূপে সেজেছিল ওয়াংখেড়ে। তবে সে আয়োজন ছিল প্রিয় ক্রিকেটারের বিদায়ের। ৭৬ রান করে ড্যারেন স্যামির হাতে ক্যাচ দিয়ে লিটল মাস্টার যখন শেষবারের মতো সাজঘরে ফিরছিলেন তখন বিষাদের সুর বেঁজে উঠে পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে। যা ছুঁয়ে যায় প্রতিপক্ষকেও। এর মধ্যে গেইল ছিলেন অন্যতম। কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের শেষ যেন মেনে নিতে পারছিলেন না টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা।
এবার শচিনের বিদায়ী ম্যাচের স্মৃতিচারণ করলেন গেইলের সতীর্থ কার্ক এডওয়ার্ডস। সেদিন দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে ছিলেন এ ক্রিকেটার। গেইলের মতো তিনিও সেদিন কেঁদেছিলেন বলে জানিয়েছেন ক্রিকট্র্যাকারকে, ‘শচিনের ২০০তম ম্যাচটিতে আমি ছিলাম সেখানে। আমিও আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। ভাগ্যিস আমার চোখে চশমা ছিল। আমার পাশে গেইলও ছিল। আমরা দুজনই কান্না আটকে রেখেছিলাম। এটা সত্যিই খুব ইমোশনাল মুহূর্ত ছিল। এমন একজন খেলোয়াড়কে আর কখনও খেলতে দেখা যাবে না, এটা খুবই আবেগপ্রবণ বিষয় ছিল।’