করোনাভাইরাস বিশ্বের ২০৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে দেশে চলছে কারফিউ কিংবা লকডাউন। বন্ধ রয়েছে যাবতীয় প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা। ঘুরছে না গাড়ির চাকা। এ অবস্থায় বিশ্বে অন্তত ৩৩০ কোটি লোক আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এর ফলে ৩৩০ কোটি কর্মক্ষম মানুষ আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হয়ে যেতে পারে।সংস্থাটি জানিয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ রকম সংকট আর আসেনি ।
এক্ষেত্রে বিশ্ব আশ্বস্থ করে আইএলও বলেছে, বছরের শেষ ৬ মাসে অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়ালে এবং কার্যকর কৌশল অবলম্বন করা গেলে পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব হতে পারে। সংস্থাটিবলেছে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার কথা ।
আইএলও বলেছে, করোনার কারণে বিশ্বে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, এতে করে বৈশ্বিক কর্মক্ষম মানুষের ৮১ শতাংশ তথা ৩৩০ কোটি আংশিক বা পুরোপুরিভাবে বেকার হয়ে যেতে পারে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আড়াই কোটি মানুষের বেকার হয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছিল সংস্থাটি। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে নতুন করে এই পূর্বাভাস দিলো আইএলও।
নতুন পূর্বাভাসে সংস্থাটি বলছে, ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলো ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিতে পারে। ফলে প্রায় ২০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মজীবী মানুষের চাকরি হারানোর আশঙ্কা তৈরি করবে। আরব অঞ্চলের দেশগুলোর ৫০ লাখ পূর্ণকালীন কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়তে পারেন এবং এতে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।