প্রায় একমাস পর আবারও যাত্রীর চাপ বেড়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ করোনার প্রভাবে জরুরি যানবাহন পারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি চলাচল চালু রাখলেও সেই সীমিত ফেরি দিয়েই এখন নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা।
অন্যদিকে প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের লঞ্চ চলাচলও। ফলে যানবাহনের সংখ্যার চেয়ে ফেরিতে এখন যাত্রীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। ঝুঁকি নিয়েই কর্মস্থলে ফিরছেন তারা।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় দৌলতদিয়ার ৩ নং ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভাষা শহীদ বরকত নামের একটি ফেরি যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে। তাতে ৪-৫টি পণ্যবাহী ট্রাক ও কয়েকটি ছোট গাড়ি নদী পারের জন্য ফেরিতে অপেক্ষা করছে। আর সাধারণ যাত্রী রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী।
সামাজিক দূরত্ব না বজায়ে রেখেই একে অপরের সাথে মিলেমিশে তারা নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে ফেরিতে। কেউ আবার নিজস্ব মোটর সাইকেল নিয়ে সপরিবারেই ছুটছেন কর্মস্থলে। ছোট শিশুদের কোলে করেই কোনো ধরনের শারীরিক নিরাপত্তার না নিয়েই তারা ফিরছেন রাজধানীতে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে এই নৌরুটে সীমিত আকারে ৫টি ফেরি চলছে একমাস ধরে। তাও শুধুমাত্র জরুরি যানবাহন যেমন অ্যাম্বুলেন্স, কাঁচামাল বহনকৃত পণ্যবাহী ট্রাক ও ওষুধের গাড়িগুলোর জন্য। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে এই নৌরুটে যাত্রীর চাপ বেড়ে গেছে। কারণ ঢাকার কিছু গার্মেন্টস ও অফিস-আদালত খোলাতে এই চাপ। সকালের দিকে যাত্রীর চাপ বেশি থাকে বলেও জানান তিনি।
লাইট নিউজ