ব্রিটিশ-পাকিস্তানি একজন বিশ্লেষক বলেছেন, তার ধারণা পাকিস্তানও উপসাগরীয় দেশগুলোর অনুসরণ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইসলামিক থিওলজি অব কাউন্টার-টেরোরিজমের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক নুর দাহরির বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম ইসরায়েল হায়োম।
ইসরায়েলি পত্রিকাটিকে দাহরি বলেন, আরও অনেক আরব দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিতে পারে। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাত ও বাহরাইনের শান্তিচুক্তির ফলে দেশটির সঙ্গে আরও কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনের দরজা খুলে গেলো।
এই বিশ্লেষক বলেন, এই চুক্তিতে যোগ দিতে ওমান, সুদান, মরক্কো ও সৌদি আরবসহ আরও অনেক দেশ অপেক্ষায় রয়েছে। এসময় তিনি কাতারের সঙ্গে ইসরায়েলের ভালো সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, উভয় দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে।
দাহরি বলেন, কাতারের সঙ্গে গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) অন্যান্য দেশগুলোর রাজনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও দেশটির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে ইসরায়েল। তাই কোনও সন্দেহ নেই যে, আগে কিংবা পরে কাতারও ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে পারে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানও তাদের দরজা পুরোপুরি বন্ধ করেনি। কিন্তু দেশটি তাদের জাতীয় স্বার্থের কারণে ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দিতে পারছে না।
উভয় দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরেই গোয়েন্দা ও সামরিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। দাহরি বলেন, পাকিস্তান কখনই ইহুদি রাষ্ট্রটিকে তাদের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করেনি এবং ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জোর দিয়েই বলেছেন যে, যদি বিশ্বের সব দেশও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে তবুও পাকিস্তান তা করবে না।
লাইটনিউজ