শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

কবরবাসীর জন্য যে দোয়া করতেন নবীজি

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কোরআনের আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদিসে প্রমাণিত কোনো মুসলিম যদি সুন্নত পদ্ধতিতে কবর জিয়ারত করে এবং বিদআত থেকে বিরত থাকে, তখন কবরবাসী তা থেকে উপকৃত হয়। কবর জিয়ারতের মূল বিষয়টিই হলো কবরবাসীর পাপমুক্তি ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য দোয়া করা। পবিত্র কোরআনে মৃত
ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা তাদের পরে এসেছে, তারা বলে- رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا وَ لِاِخۡوَانِنَا الَّذِیۡنَ سَبَقُوۡنَا بِالۡاِیۡمَانِ وَ لَا تَجۡعَلۡ فِیۡ قُلُوۡبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا رَبَّنَاۤ اِنَّكَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভাইদের ক্ষমা করুন এবং মুমিনদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তো দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।’ (সুরা হাশর: ১০)

রাসুলুল্লাহ (স.) জানাজার নামাজে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করতেন- اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلاً خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ أَوْ مِنْ عَذَابِ النَّارِ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দিন ও তার প্রতি দয়া করুন। তাকে নিরাপদে রাখুন ও তার ত্রুটি মার্জনা করুন। তাকে উত্তম সামগ্রী দান করুন ও তার প্রবেশপথকে প্রশস্ত করে দিন। তাকে পানি, বরফ ও বৃষ্টি দ্বারা মুছে দিন এবং পাপ থেকে এরূপভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিন যেরূপ সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। তাকে তার ঘরকে উত্তম ঘরে পরিণত করুন, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার দান করুন, তার স্ত্রীর তুলনায় উত্তম স্ত্রী দান করুন। তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান এবং কবরের শাস্তি ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচান।’ (সহিহ মুসলিম: ২১২১)

কবরবাসীর জন্য যে দোয়া করতেন নবীজি
রাসুলুল্লাহ (স.) কবরস্থানে প্রবেশের সময় নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করতেন এবং সাহাবিদেরকেও পাঠ করতে বলতেন। তা হলো—السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَأَتَاكُمْ مَا تُوعَدُونَ غَدًا مُؤَجَّلُونَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأَهْلِ بَقِيعِ الْغَرْقَدِ উচ্চারণ: ‘আসসালামু আলায়কুম দারা কাওমিন মুমিনীনা ওয়া আতাকুম মা তআদূনা গদান মুআজজালুনা ওয়া ইন্না ইনশাআল্লহু বিকুম লাহিকূন আল্লহুমমাগফিরলি আহলি বাকীউল গরকাদ।’ অর্থ: ‘তোমাদের ওপর সালাম ও শান্তি বর্ষিত হোক হে মুমিন কবরবাসীরা! তোমাদের কাছে পরকালে নির্ধারিত যেসব বিষয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা তোমাদের কাছে এসে গেছে। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব।’ (সহিহ মুসলিম: ২১৪৫ ও ২১৪৭)

কোনো মুসলিমকে কবরে রাখার পর প্রথম দোয়া করতে হয় দাফন শেষ হওয়ার পর। উসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) মৃতের দাফন শেষ করে সেখানে দাঁড়িয়ে বলতেন, তোমাদের ভাইয়ের জন্য তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং সে যেন (ঈমানের ওপর) প্রতিষ্ঠিত থাকে সে জন্য দোয়া করো। কেননা তাকে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (সুনানে আবি দাউদ: ৩২২১)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, তাঁরা দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাব্বিতহু বিল-কাওলিস সাবিতি ফিল হায়াতিদ দুুনিয়া ওয়া ফিল আখিরা।’ অর্থ হলো, হে আল্লাহ! আপনি আপনার সুদৃঢ় বাক্যের (কলেমার) ওপর পার্থিব জীবনে ও পরকালে অবিচল রাখুন।

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD