ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সর্বশেষ রোগী পাওয়া যায় কসবা উপজেলায়। তবে গত ১৬ মে প্রথম রোগী পাওয়ার পর পরই শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ৩৬ রোগী পাওয়া কসবা কসবা এখন আক্রান্তের সংখ্যার দিকে বেশ উপরে। এ অবস্থায় কসবা পৌর এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানকার নির্ধারিত তিনটি এলাকাকে প্রথমবারের মতো লকডাউন করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সর্বশেষ মঙ্গলবার আসা ফলাফলে ১০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৮ জনই কসবা পৌর এলাকার। সার্বিক দিক বিবেচনায় মঙ্গলবার বিকালে বৈঠক করে প্রশাসন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌর এলাকার আড়াইবাড়ি, সাহাপাড়া ও শীতলাপাড়া এলাকা লকডাউন থাকবে। এ ছাড়া লোকজন বেশি হয় বলে পৌর মার্কেট আপাতত বন্ধ রাখা হবে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাসুদ উল আলম জানান, যেসব এলাকার লোকজন আক্রান্ত হয় তাদের বাড়ি এমনিতেই লকডাউন দেওয়া হয়। যে কারণে বেশি আক্রান্ত এলাকার পুরোটাই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন হওয়ার এলাকার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।