শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
করোনা ইস্যু

ক্ষতির বিশাল সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ‘বাংলাদেশ’

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০২০
ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাস সংক্রামণের ইস্যুতে ক্ষতির এক বিশাল সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। গত ১০ দিন থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাতিল হতে থাকে গার্মেন্টের অর্ডার। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়েনি দেশের পোষাক কারখানার মালিকরা। করোনা যেন সারা দেশে ছড়িয়ে না পারে সেই শঙ্কা থেকে খোলা রেখে ছিলেন কারখানা। আর অন্য দিকে লোকসানের হিবাস কষতে থাকে পোষাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ৮২৬ দশমিক ৪২ মিলিয়ন পিস অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। যার বাজারমূল্য ২ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ইউএস ডলার। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএ’র পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালিসহ অধিকাংশ দেশে ৯২৬টি কারখানার ৮২৬ দশমিক ৪২ মিলিয়ন পিস অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ২ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার ইউএস ডলার। এসব কারখানাগুলোতে ১৯ লাখ ৫ হাজার শ্রমিক রয়েছেন।

 

এদিকে প্রাণঘাতী করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তৈরি হওয়ায় পোশাক খাতের সাতটি কারখানা বন্ধ করেছে মালিকরা।

 

এছাড়া আর্থিক সংকটের কারণে গত ১৪ মাসে (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ১০৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

 

গত বছরের তুলনায় এ বছরের ১৮ মার্চ তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৪১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ১৯ মার্চ কমেছে ১২ দশমিক ২ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ২০ মার্চ রফতানি কমেছে ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।

 

বিজিএমইএ নেতারা বলছেন, আর্থিক সংকটের কারণে কিছু দিনের মধ্যে অন্তত এক হাজার পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।

 

প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগে শ্রমিক মজুরি পরিশোধ নিয়ে গার্মেন্টস মালিকরা কিছুটা ভারমুক্ত হলেন বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।

 

তাকে স্বাগত জানিয়েছেন রুবানা হক বলেন, রফতানিমুখী পোশাক কারখানা মালিকদের প্রতিমাসে শ্রমিকের মজুরি বাবদ চার হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে শ্রমিক মজুরি পরিশোধ নিয়ে গার্মেন্টস মালিকরা কিছুটা ভারমুক্ত হলেন।

 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শিল্প উৎপাদন ও রফতানি বাণিজ্যে আঘাত আসতে পারে। এই আঘাত মোকাবিলায় আমরা কিছু আপদকালীন ব্যবস্থা নিয়েছি। রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এ তহবিলের অর্থ দিয়ে কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD