বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া খোশ মেজাজে রয়েছেন।
‘বিএসএমএমইউতে প্রিজন সেলের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কেবিন ব্লকের একটি কক্ষে একজন গৃহপরিচারিকাসহ দীর্ঘদিন বন্দিজীবন এবং বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তার মেজাজ সব সময় চড়া থাকে। মুখে সরাসরি কিছু না বললেও তিনি আচার-আচরণে তা সব সময় বুঝিয়ে থাকেন। কিন্তু বন্দিদশা থেকে মুক্তির খবরে আজ তার মেজাজ একেবারেই চড়া নেই। তিনি খুব প্রশান্তিতে রয়েছেন বলে মনে হলো। মুক্তি পাওয়ার খবরটি তিনি আগে থেকেই জেনেছেন ভাবভঙ্গিতে মনে হলো।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসএমএমইউতে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসাসেবায় জড়িত একজন চিকিৎসক এ তথ্য জানান।
কনসালটেন্ট পদমর্যাদার ওই চিকিৎসক জানান, তারা বেলা ১১টার দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন।
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত বিএসএমএমইউর মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. ঝিলন মিয়া সরকার জানান, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে তিনি দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে যাবেন।
এদিকে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা কারাগার থেকে প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র এসে পৌঁছেনি।
তিনি বলেন, সরকার যেহেতু তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির সুপারিশ করেছেন, এ কারণে তারা মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরামর্শ ব্যবস্থাপত্র তৈরি করে রাখছেন।
উল্লেখ্য, দুই বছরেরও বেশি সময় কারাভোগের পর (আজ অথবা আগামীকাল) যে কোনো সময় মুক্তি পেতে পারেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় এবং মানবিক কারণে তার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দীর্ঘ কারাভোগের পর মুক্তি পাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন।
লাইটনিউজ/এসআই