সিলেটের এমসি (মুরারিচাঁদ) কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামি ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ পাহারায় তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে তারেক ও মাহফুজ ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোর্তিময় সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া এবং আইনুদ্দিনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে।
এসএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ধর্ষণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে ওসমানী মেডিকেলে নেয়া হয়। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ওই নববধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত মামলার ছয়জন এজাহারভুক্ত আসামিসহ ৮ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
লাইটনিউজ/এসআই