ভ্যাকসিন ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে হলে ২০২২ সাল পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ভ্যাকসিনের আবিষ্কার ছাড়া সামাজিক দূরত্ব, কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনই একমাত্র উপায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থামানোর। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা কমে এলে অনেক জায়গায় মানুষ তা মানবে না। কারণ এসব নিয়ম দীর্ঘ মেয়াদে চললে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বোঝা তৈরি হবে।
গবেষণায় বলা হয়, কয়েক মাস পর ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা কমে গেলেও শীত এলে আবার প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এই জন্য ২০২২ সাল পর্যন্ত থেমে থেমে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। কারণ যেসব দেশ ইতোমধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ কমে গেছে তারা দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ থেকে কতটুকু মুক্ত তা কিন্তু কেউ বলতে পারছে না।
উদাহরণ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার কথাই বলা যাক। গত সপ্তাহ দেশটি ঘোষণা দিয়েছে সেখানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে ৫০ জনের মতো। অথচ এর আগে তারা জানিয়েছিল তারা ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হতে পেরেছে। এ রকম পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যান্য স্থানে তৈরি হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
হার্ভার্ড গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আশিশ জা বলেন, ভাইরাসটি এত বড় একটি প্রভাব ফেলবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। সবকিছু স্বাভাবিক হতে আরো অনেক সময় প্রয়োজন। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ার পরও করোনাভাইরাসের প্রভাব চলতে থাকবে।