চোরাই গ্যাসের ব্যবহার ও লিকেজের কারণে প্রতিবছর রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। আবার নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে গ্রাহক পর্যায়ে কম গ্যাস দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, অবৈধ সংযোগে তিতাসের কারও নাম আসলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, খিলগাঁও, বনশ্রীসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ সংযোগে গ্যাস ব্যবহার করে, অনেক বাসা-বাড়ি, বেকারি ও হোটেল রেস্টুরেন্টে জ্বলছে চুলা। এর ফলে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বৈধ গ্রাহকরা। এক্ষেত্রে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্র দুদককে অনুসন্ধানে নামতে হবে। আর শাস্তি হিসেবে, বদলি কোনও শাস্তি হতে পারে না বলে আমি মনে করি। এখানে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ছাড়া আমি আর কোনও উপায় দেখছি না।
দুর্নীতির মাধ্যমে বিকল্প আয়ের পথ বেছে নিয়েছেন তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে ব্যর্থ বলে জানান জ্বালানী বিশেষজ্ঞ শামসুর আলম। তিনি বলেন, এই সমস্যার একমাত্র সমাধান তিতাসের বোর্ড থেকে জ্বালানি বিভাগের সমস্ত কর্মকর্তাদের অপসারণ করা।
বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ঠেকাতে বিকল্প পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এই অবৈধ সংযোগে যারা জড়িত তাদের কাউকে চাকরিতে রাখা হবে না।
অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা গেলে গ্যাস সংকট অনেকটাই নিরসন হবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
লাইটনিউজ