ভূমধ্যসাগরে নতুন করে গ্রিসকে হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। শনিবার পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাসের অধিকার নিয়ে তুর্কি বাহিনী সামরিক মহড়া পরিচালনার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
তুরস্ক ভূমধ্যসাগরে তার বিতর্কিত সাইপ্রাস ও গ্রিস দ্বীপপুঞ্জের মাঝামাঝি তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে জাহাজ মোতায়েন করেছে। ওই জাহাজটি পাহাড়া দিতে যুদ্ধজাহাজের স্কট পাঠিয়েছে। এ নিয়ে সাইপ্রাস ও গ্রিস দাবি করেছে এটি তাদের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল।
শনিবার এরদোগান বলেন, তারা যে অনৈতিক ম্যাপ ও ডকুমেন্ট দেখাচ্ছে সেটা ছিড়ে ফেলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি তুরস্কের রয়েছে। এটা তারা বুঝতে পারবে। তুরস্ক যেকোনো পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত আছে।
এরদোগান বলেন, হয় তারা রাজনীতি ও কূটনীতির ভাষা বুঝবে অথবা তাদেরকে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার শিকার হতে হবে।
তুরস্কের সামরিক বাহিনী উত্তর সাইপ্রাসের বিচ্ছিন্ন প্রজাতন্ত্রে রোববার পাঁচ দিনের সামরিক মহড়া শুরু করবে, যা কেবল আঙ্কারার স্বীকৃত।
ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে বহুদিনের বিবাদ রয়েছে। সম্প্রতি তুরস্ক সাইপ্রাসের নিকটবর্তী নিজেদের অংশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে গ্রিস। গ্রিসকে সমর্থন দিচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। তাতে করে গ্রিস ও তুরস্ক উভয় দেশই ভূমধ্যসাগরে তাদের যুদ্ধজাহাজ ও আকাশপথে বিমানের মহড়া বাড়িয়েছে। এ নিয়ে দুটি দেশের মধ্যে বেশ উত্তেজনাও বিরাজ করছে কিছুদিন ধরে।
বিষয়টির একটি সুরাহা করতে চাচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। তুরস্কও চাচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসতে। এখন গ্রিস যদি আলোচনা না করতে চায় তাহলে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে রাখলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
লাইটনিউজ/এসআই