সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা নিরসনে বৈঠক শেষ করেছে দু্ই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দুই দেশের সেনারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সম্মুখ অবস্থান থেকে পরস্পর দূরত্বে অবস্থান করবে।
সীমান্তে সোমবার কমান্ডারদের মধ্যে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টার বৈঠকের ফল নিয়ে বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, উত্তেজনা কমাতে দুই পক্ষই রাজি হয়েছে। সেনা সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তারা পারস্পরিক একমত হয়েছেন।
এদিকে কমান্ডার পর্যায়ে ১১ ঘণ্টা চলা বৈঠক নিয়ে মঙ্গলবার চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস বলছে, দুই দেশের বৈঠকের সময় কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করেছে চীন।
সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত যদি চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধকে সংঘাত বা এমনকি স্থানীয় যুদ্ধে পরিণত করে, তবে এটি পাথরের বিরুদ্ধে ডিম ছোড়ার মতো হবে।
এতে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর অনুমানের বরাত দিয়ে বলা হয়, কিছু ভারতীয়রা বিশ্বাস করে ভারতীয় সেনা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তারা চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে পরাস্ত করতে পারবে এবং ১৯৬২ সালে চীনের কাছে পরাস্ত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে পারবে।
আগের চীনা অর্থনীতি আর আজকের দেশটির অর্থনীতি এক নয়। চীনের জিডিপি ভারতের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। এ ছাড়া চীনের সামরিক ব্যয় ভারতে চেয়ে তিনগুণ বেশি।
এতে বলা হয়েছে, এটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে যে, চীন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে। কয়েক দশক ধরে চীন-ভারত সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সম্মুখ গুলি বিনিময়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
গ্লোবাল টাইমস বলছে, যদি ভারতীয় সেনারা ভবিষ্যতে চীনা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করে, তবে সীমান্ত এলাকার চিত্র ভিন্ন হবে।
ভারতীয়দের হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, যদি ভারতীয় সেনারা অস্ত্রবিহীন সংঘর্ষে চীনা সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে না পারে, তাহলে গোলা এবং অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র আপনাদের সাহায্য করতে পারবে না। এর কারণ, চীনের সামরিক শক্তি ভারতের চেয়ে অনেক উন্নত এবং শক্তিশালী।
লাইট নিউজ