বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন

চেষ্টা করলে বেকার বসে থাকা লাগে না

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মো. সাইফুল ইসলাম উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন ছাত্রাবস্থায়ই। ২০১৬ সালে ২টা কম্পিউটার কিনে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং। খুব অল্পদিনেই তিনি বুঝে ফেলেন, বিশ্ববাজারে কাজের অভাব নেই। প্রয়োজন দক্ষতা। উপযুক্ত দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে উপার্জন করা সম্ভব।

নিজের ভাবনাকে ছড়িয়ে দিলেন সমমনা তরুণদের মধ্যেও। নিজের উপার্জিত টাকা একটু একটু করে বিনিয়োগ করলেন। প্রতিষ্ঠা করলেন ‘অ্যাডভান্স স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট’। তার প্রতিষ্ঠানে তরুনদের গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব সাইট কোডিংসহ নানামুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেন। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী স্কিলিং কোর্সগুলো শেষে তরুনদের পথ দেখালেন ফ্রি-ল্যান্সিং এর। তার প্রতিষ্ঠান থেকে গত কয়েক বছরে প্রশিক্ষণ নেয়া প্রায় হাজার খানেক তরুন এখন নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে উপার্জন করছে।

দেশে বেকারের সংখ্যা যখন দিন দিন বাড়ছে, তখন মো. সাইফুল ইসলাম রাখলেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। নিজের চেষ্টায় নিজের পায়ে দাঁড়ালেন। স্বপ্ন দেখালেন আরো শত শত তরুনকে। তাদেরকেও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সাহস যোগালেন। পথ বাতলে দিলেন।

বাংলাদেশের বাগেরহাটের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম এর প্রতিষ্ঠানে এখন কম্পিউটারের সংখ্যা ৪৮টি। প্রশিক্ষকসহ কর্মচারীর সংখ্যা ৬৫ জন। এই ৬৫ জন মানুষের কর্মসংস্থানই তার একমাত্র অর্জন নয়। তার মূল অর্জন হাজার খানেক তরুণকে স্বনির্ভর করতে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা।

এ প্রসঙ্গে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পড়াশোনা শেষে অনেকেই চাকরির পেছনে ঘুরতে ঘুরতে হতাশ হয়ে পড়েন। অথচ সারা পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে কাজের জন্য মানুষ খোঁজা হচ্ছে। ফ্রি-ল্যান্সিং এর মাধ্যমে সে কাজগুলো করে প্রতিটি শিক্ষিত ছেলে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে। তবে এসব কাজের জন্য দক্ষতা প্রয়োজন। একটু প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করলে ফ্রিল্যান্সিং করে আরাম পাওয়া যায়।‘

মো. সাইফুল ইসলাম জানালেন, ফ্রিল্যান্সিং এ সময় দিলেই পড়াশোনা শেষ করে কাউকে বেকার থাকতে হয় না। দরকার একাগ্রতা। নানান ধরণের কাজ রয়েছে। একটা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট লাইন থাকলেই সেসব কাজ করতে পারেন তরুনেরা।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD