সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক আরেকটি মামলা হয়েছে।
শনিবার শাহপরান থানার এসআই মিল্টন সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এর আগে ভোররাতে সাইফুর রহমানের কক্ষে অভিযান চালিয়ে একটি পাইপগানসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
শাহপরাণ থানার ওসি কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় যে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছ তাদের মধ্যে সাইফুর রহমান নামে একজনের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোর রাতে ওই ছাত্রাবাসে তার কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
শুক্রবার রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মী ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকালে প্রাইভেটকারে করে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকালে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন।
পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন।
গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতার স্বামী। শনিবার সকালে ৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সাইফুর রহমান (২৮), রবিউল ইসলাম (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮) ।
এদের মধ্যে অর্জুন ও তারেক (২৮) বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
আসামিদের মধ্যে সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের দিরাইয়ে, মাছুমের কানাইঘাটে, অর্জুনের জকিগঞ্জে, রনির হবিগঞ্জে এবং তারেকের বাড়ি সুনামগঞ্জে।
লাইটনিউজ