দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু-পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ১৫ ট্রাকে ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও চার ট্রাকে ১১০ মেট্রিক টন আলুর আমদানি হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, রোববার ১৪ ট্রাকে ৩৯৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ৭২ ট্রাকে দুই হাজার ৩৯ মেট্রিক টন আলু আমদানি হলেও সোমবার দুই ট্রাক ৭২ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়।
এদিকে আলু আমদানি বন্ধ হওয়ায় হঠাৎ কেজিতে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকালে হিলি বাজারে শাটাল আলু ৭৫ টাকা, কাঠিনাল ৭০ টাকা এবং ভারতীয় আলু ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের হিলি স্থল বন্দরের এক্সপোর্টার পাপ্পু আগরয়াল ও বাবই দে জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে না জানিয়ে সেখান থেকে অন্য রাজ্যে এবং বাংলাদেশে আলু রপ্তানি করা হচ্ছিল। ফলে সেখানে আলুসহ পেঁয়াজের দাম হু-হু করে বাড়ছে। এমন
অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে আলু রপ্তানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিন রাজ্যসহ বাংলাদেশে আপাতত আলু রপ্তানি বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের একজন রপ্তানিকারক বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে পশ্চিম বঙ্গ থেকে নয় অন্য রাজ্য থেকে আলু রপ্তানি করলে পশ্চিম বঙ্গ বাঁধা দিবে না কিন্তু পেঁয়াজ আমদানিতে কোন বাঁধা নেই। যে কোনো রাজ্য থেকে আমদানি রপ্তানি করতে পারবে। এমন সিদ্ধান্তে বুধবার
সকাল থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ-আলু রপ্তানি শুরু হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, স্লট জটিলতায় দুদিন পেঁয়াজ আলু আমদানিতে কিছুটা প্রভাব পড়েছিল। সকাল থেকে আবার আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।