শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

জরুরিসেবার আওতায় থাকবে সংবাদপত্র-জ্বালানি

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে সংশোধনী এনেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশোধনীতে বলেছে, সাধারণ ছুটিকালীন ‘জ্বালানি’ ও ‘সংবাদপত্র’ জরুরি পরিষেবার আওতায় থাকবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি ও সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের কর্মীরা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে প্রজ্ঞাপনে এটি পরিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (০১ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে আগামী ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বৃদ্ধি করে। ১০ ও ১১ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটিও এর সঙ্গে যুক্ত হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা (ছুটি) প্রযোজ্য হবে না। ‘কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, (সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে জ্বালানি ও সংবাদপত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়) খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জমাদি, জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।

জরুরি প্রয়োজনে অফিসগুলো খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।

জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গত ২৩ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২৬ মার্চ থেকে সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ছুটির মধ্যে জরুরিসেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। আর ২৪ মার্চ থেকে সেনাবাহিনী সাধারণ প্রশাসনকে সহায়তায় কাজ করছে।

বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত এবং ১৮ মার্চ মৃত্যুর খবর দেয় সরকারি সংস্থা আইইডিসিআর। বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।

করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর আগে ১৮ থেকে ৩১ মার্চ এবং পরে তা বাড়িয়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নেওয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে একেবারে রোজা ও ঈদের ছুটির সঙ্গে সংযুক্ত করা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাধারণ ছুটির মধ্যে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে সমিতি। আর মার্কেটগুলো ২৫ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে মালিক সমিতি।

লাইটনিউজ/এসআই

Please Share This Post in Your Social Media

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD