ইউক্রেনের বন্দরে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে কারা মিসাইল মেরেছে, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি বলে জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হামলাটা যুদ্ধের মধ্যে হয়েছে। কোন মিসাইল, কারা করেছে, আমরা এখনও কনফার্ম হতে পারিনি। জাহাজটি মিসাইলে আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু কোন মিসাইলে আক্রান্ত হয়েছে সেটা বলতে পারছি না। আমরা যখন জানবো কারা করেছে এটা, তখন সেটার ব্যাপারে কথা বলবো।’
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে নৌ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে ‘জাহাজে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানাবেন কি না’ এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইউক্রেনে অবস্থানরত জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধিতে’ আটকেপড়া ২৮ বাংলাদেশি নাবিককে উদ্ধার বা নিরাপদে সরিয়ে নিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছি। ইতোমধ্যে পোল্যান্ডের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সচিবের সঙ্গে বেশ কয়েকবার উনার কথা হয়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। তারাও চাচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক। নাবিকরা যদি জাহাজ থেকে নেমে যায়, তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি, আরও নিরাপদ রাস্তা বের করতে পারি কি না। কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপরতা চালাচ্ছি। হয়তো দ্রুত তাদের সেখান থেকে নিয়ে আসতে পারবো।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাহাজটি ওখানে আটকা অবস্থায় আছে। এটা বাণিজ্যিক জাহাজ, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকার কথা। বন্দরের মধ্যে মাইন সেট করার কারণে চ্যানেলটা বন্ধ হয়ে গেছে। পোর্ট কর্তৃপক্ষ সেখানে যে পাইলটিং করে, সেটা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণে জাহাজটি আটকে গেছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাহাজে এক মাসের বেশি সময়ের খাবার মজুদ ছিল। গত রাতে যখন সংবাদ পাই, সেখানে মিসাইল হামলা হয়েছে। জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরপরই খবর পেলাম থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান সেখানে মিসাইলের আঘাতে মারা গেছেন। বাকি ক্রুরা ফায়ার ফাইটিংয়ের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।’
তিনি বলেন, ‘জাহাজ এখন চলাচল করা সম্ভব নয়। তবে জেনারেটরসহ বাকি যেসব সুবিধা, সেগুলো আমাদের ক্রুরা পাচ্ছে।’
নিহত হাদিসুর রহমানের মরদেহ জাহাজে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।