রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০৯ অপরাহ্ন

টেকনাফে খাবারে সন্ধানে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্যহাতির মৃত্যু

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০

খাবারের সন্ধানে এসে কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক বন্যহাতি মারা গেছে।

বন বিভাগ বলেছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পাহাড়ি এলাকায় নিয়মবহির্ভূত বনাঞ্চল এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে বন্য হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুন) বিকেল ৩ টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনার পাহাড়ি খন্ডা কাটা নামক এলাকায় মৃত হাতির উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, শুক্রবার ভোরে গহীন পাহাড়ে খাবারে সন্ধানে বের হলে পুরুষ হাতি-টি মরিচ্যাঘোনার পাহাড়ি খন্ডাকাটা এলাকার ঘুরতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে সেখানে দুই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বৈদ্যুতিক খুঁটির সংযোগ লাইনের সংর্স্পশে গেলে হাতির চিৎকার শোনা যায়। তবে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে সকালে বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে হাতির মরদেহ দেখে বনবিভাগকে খবর দেয় স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, হ্নীলা বন বিট কার্যালয় থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি জমিতে একটি বিশালাকার মৃত হাতি পড়ে আছে। বন বিভাগের লোকজন হাতিটির চারপাশে খুঁটি দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। কয়েকজন বনপ্রহরী হাতিটিকে পাহারা দিচ্ছেন। স্থানীয় লোকজনকে হাতির আশপাশে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে হাতি শুঁড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

জানতে চাইলে বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আশিক মাহমুদ বলেন, হাতিটির বয়স ৪০ বছর হতে পারে। খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে বিদ্যুতের শক লাগার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ময়না তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। হাতি দাফনের প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, হাতির শুঁড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাছাড়া পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় শামসু নামক এক ব্যক্তিকে নিয়মবহির্ভূত বনাঞ্চল এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রস্তুতি চলছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, হাতি মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। পাহাড়ি এলাকায় কীভাবে বিদ্যুতের খুঁটিতে গেলো সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও গাফলতি ফেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া রোহিঙ্গারা পাহাড় ও বন কেটে ফেলায় বন্যপ্রাণীদের দুর্দিন সময় যাচ্ছে।

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD