করোনার বিধ্বস্ত আমেরিকা।এর মধ্যেই দেশটিতে জ্বলছে বিদ্বেষের আগুন। সেই আগুনে ঘি ঢালার কাজ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!
টুইটারে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেন, ‘লুঠ শুরু হলে, গুলি শুরু হবে।’
ট্রাম্পের এই টুইটের প্রেক্ষিতে হলিউডের অনেক তারকাই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ টুইটের পাল্টা টুইট করে ট্রাম্পকে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন গায়িকা টেলর সুইফট।
ট্রাম্পকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, ‘আপনি প্রেসিডেন্ট হয়েও সাদা চামড়ার আধিপত্যবাদ ও বর্ণবাদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এরপরও কীভাবে আপনি সংহতির হুমকি দিতে পারেন। এই আপনার নৈতিক শ্রেষ্ঠত্ব? কীভাবে আপনি গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন! আপনাকে আমরা ভোট দিয়েই ক্ষমতাচ্যুত করব নভেম্বরে’। টেলর সুইফটের এই টুইট এখন মেগাহিট।
সেদিন ট্রাম্পের টুইটের পর মিনেসোটার থানায় আগুন লাগান বিক্ষোভকারীরা। প্রাণ বাঁচাতে পালান পুলিশকর্মীরা! চলে ভাঙচুর, লুঠপাট। ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয়, লস অ্যাঞ্জেলিস, শিকাগো, মেমফিস, টেনেসিতেও।
সেখানেও পথে নেমেছেন শত শত কৃষ্ণাঙ্গ। অবশ্য ট্রাম্পের এই বিতর্কিত টুইট লুকিয়ে দিয়েছে টুইটার। তার জায়গায় লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার বিধি লঙ্ঘন করেছে এই টুইট।’
এমনকী প্রেসিডেন্টের টুইট শুক্রবার সকালে নতুন করে পোস্ট করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। সেখানেও একই বার্তা সেঁটেছে টুইটার। বিতর্কিত টুইটটি যাতে বেশি সংখ্যায় মানুষের কাছে পৌঁছতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও নিচ্ছে টুইটার। কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষেত্রে সম্ভবত এমন নজির নেই।
এদিকে হিংসার খবর সংগ্রহে গেলে গ্রেপ্তার করা হয় সিএনএন-এর কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিককে। তাতে মানুষের ক্ষোভ আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্ট এবং প্রশাসনের এমন আচরণের বিরুদ্ধে সরব প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের ডেমোক্র্যাট প্রতিপক্ষ জো বাইডেন।
এ নিয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, ‘বর্ণবিদ্বেষ ২০২০-র আমেরিকায় স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না।