রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সরকারের প্রতিনিধিরা। কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর সম্ভব কি না এ বিষয়ে পর্যালোচনা করতে আগামী সাত দিনের মধ্যে একটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত
হয়েছে। সেই সময় পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার তারা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রাখেন প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা। পরে ‘ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি দেওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে বৈঠক করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যায়। সেখানে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন—মাহমুদ হাসান মুক্তার, মোশাররফ রাব্বি, নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, তোয়াহা ও কাউসার।
বৈঠকে অংশ নেওয়া তিতুমীর কলজের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সদস্য মতিউর রহমান জয় জানান, আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন এবং আমাদের দাবি পর্যালোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কমিটি অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। তিনি জানান, তারা
প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন এবং ওই সময় পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছেন।
এদিকে বৈঠক শেষে শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়া খুব কঠিন। তবে উত্তরাঞ্চলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এছাড়া তিতুমীর কলেজের ১০ একর জমি রয়েছে। কমিটি সব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত জানাবে।