বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে গত ৫ আগস্টের আগে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। পর পর দুই মাস যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য হারে প্রবাসী আয় কমে যায়। তবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেশটি থেকে প্রবাসী আয় আসা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দেশের প্রবাসী আয় প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, গত অক্টোবর শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। এর দুই মাস আগে গত জুলাইয়ে দেশটি থেকে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ২৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয়
আসা তিন মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি মাসেই দেশটি থেকে প্রবাসী আয় আসা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
গত আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল ২৯ কোটি ডলার, যা তার আগের মাস জুলাইয়ের তুলনায় ৫ কোটি ডলার বেশি। সেপ্টেম্বরে এসেছে ৩৯ কোটি ডলার, আগস্টের তুলনায় যা ১০ কোটি ডলার বেশি। এছাড়া সর্বশেষ অক্টোবর মাসে এসেছে প্রায় ৫০ কোটি ডলার।
আগের মাস সেপ্টেম্বরের তুলনায় যা ১১ কোটি ডলার বা ২৮ শতাংশ বেশি।
তবে রেমিট্যান্সে এর আগে শীর্ষে থাকা দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে গত তিন মাসে প্রবাসী আয় আসায় তেমন পরিবর্তন হয়নি। আরব আমিরাত থেকে জুলাই মাসে ৩৩ কোটি, আগস্টে ৩৪ কোটি, সেপ্টেম্বরের ৩৬ কোটি এবং অক্টোবর মাসে ৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে দেশে।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে প্রবাসী আয় প্রেরণের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে গেছে দেশটি।
অক্টোবর মাসের পুরো সময়ে দেশে মোট প্রবাসী আয়বা রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৪০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রায় ২১ শতাংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। একই মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মোট প্রবাসী আয়ের পৌনে ১৪ শতাংশ এসেছে। সেই হিসাবে অক্টোবরে দেশে আসা মোট প্রবাসী
আয়ের ৩৫ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। দেশ দুটি থেকে অক্টোবর মাসে ৮০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে।