গত দুই বছর ধরে (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর চাইনিজ মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। এ জন্য প্রতিবছর ৪৪০ কোটি রুপি গুনতে হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত চুক্তি হয়েছে ভিভো-আইপিএলের মধ্যে। কিন্তু তাতে বাঁধ সেধেছে কয়েকদিন আগে গালওয়ানে ঘটে যাওয়া ঘটনা। চীন-ভারত সেনাদের মধ্যে সে সংঘর্ষে মারা গেছে ২০ ভারতীয় নওজোয়ান। এরপর থেকেই চীন বিরোধী প্রচারণা চলছে ভারতজুড়ে।
গোটা দেশের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। আইপিএলের স্পন্সর নিয়ে নতুনকরে ভাবতে চাচ্ছে তারা। এজন্য আসছে সপ্তাহে মিটিংয়ের ডাকও দেয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হয়েছে আইপিএলের টুইটার থেকেও, ‘সীমান্তে সংঘাতে আমাদের জওয়ানরা শহীদ হয়েছে। উদ্ভূত এ পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী সপ্তাহে আইপিএলে নানা স্পন্সর নিয়ে কথা বলা হবে।’
অবশ্য চীনের প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের স্পন্সর হিসেবে নিতে আপত্তি নেই বোর্ডটি কোষাধ্যক্ষ অরুন ধুমালের। এ ব্যাপারে আবেগ দিয়ে না ভেবে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন এই কর্মকর্তা, ‘চীনের স্পনসর তো ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থই দেখছে। ভারতের ভেতর থেকে কিংবা চীনের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান স্পন্সর হতে পারত। কিন্তু কৌশলটা হলো এখানে (ভারতে) যখন তারা পণ্য বিক্রি করছে, সেই টাকার একটা অংশ কিন্তু ভারতে থেকে যাচ্ছে। বিসিসিআই চীনকে টাকা দিচ্ছে না। এর উল্টোটা ঘটছে। আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আমাদের।’
অবশ্য ধুমাল এর আগে জানিয়েছিলেন সীমান্তের সংঘর্ষ প্রভাব ফেলবে না ভিভোর-আইপিএল সম্পর্কে। চীনের টাকায় ভারতের লাভ হলে অসুবিধা দেখছেন না তিনি। কিন্তু গতকালের টুইটার এই কথার ভিত্তি উড়িয়ে দিল। এখান দেখার বিষয় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আইপিএলে ভিভোর স্থান হয় কি না। অবশ্য এজন্য আগামী সপ্তাহের মিটিং পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সবাইকে।