মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৭:০৯ অপরাহ্ন

দরিদ্র-কর্মহীনদের মাসে ৩০ কেজি চাল ও ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৪ মে, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ও ঘূর্ণিঝড় দুর্যোগের মধ্যে দরিদ্র এবং কর্মহীন প্রতিটি পরিবারকে মাসে একবারে ৩০ কেজি চাল এবং মোবাইলে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে দুর্যোগ সহায়তা মনিটরিং কমিটি।

শনিবার রাতে সরকারি ত্রাণ বরাদ্দের দ্বিতীয় রিপোর্ট প্রকাশ ও অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট দরিদ্র-সংখ্যা কম থাকলেও বরাদ্দে অগ্রাধিকার পেয়েছে বেশ কিছু জেলা যেমন- ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, ইত্যাদি। এসব জেলার দরিদ্র-সংখ্যা জামালপুর, গাইবান্ধা বা নীলফামারীর চেয়ে কয়েক গুণ কম। কিন্তু সেখানে বরাদ্দ জামালপুর, গাইবান্ধা বা নীলফামারীর চেয়ে প্রায় এক পঞ্চমাংশ বেশি।

মুন্সীগঞ্জ এবং মাদারীপুরে জনপ্রতি বরাদ্দ যথাক্রমে ১৭৫ এবং ১২৬ টাকা, যখন সবচেয়ে দরিদ্র সংখ্যাধিক্যের জেলা দিনাজপুর পাচ্ছে জনপ্রতি মাত্র সাড়ে ৫ টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের প্রায় সোয়া ৪ কোটি দরিদ্র মানুষকে করোনা দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে সরকার সর্বমোট প্রায় পৌনে সাতশো কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

বরাদ্দের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, সরকার গত বছর একটি কোম্পানির ট্যাক্স মওকুফ করেছে প্রায় ৩১৭০ কোটি টাকা যা সর্বমোট ত্রাণ বরাদ্দের প্রায় সাড়ে ৪ গুণ।

গত এক বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা যা সর্বমোট ত্রাণ বরাদ্দের প্রায় ১৩ গুণেরও বেশি।

ত্রাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া অর্থের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি টাকা প্রতিবছর দেশ থেকে নানাভাবে পাচার হতে দেওয়া হয় বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

মনিটরিং কমিটির পক্ষ থেকে ছয়টি সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএসের খানা জরিপের ভিত্তিতে দরিদ্র এবং কর্মহীন প্রতিটি পরিবারকে একবারে ৩০ কেজি চাল এবং নগদ ১০ হাজার টাকা মোবাইলের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে। যতদিন দুর্যোগ থাকবে প্রত্যেক মাসে এটা অব্যাহত রাখতে হবে।

সুপারিশে আরও বলা হয়, ত্রাণ সহায়তা বিতরণে সকল রকমের অনিয়ম, দুর্নীতি, দলপ্রীতি, স্বজনপ্রীতি দূর করতে হবে। এজন্য মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার উপর থেকে অন্যায় খবরদারী প্রত্যাহার করতে হবে, যাতে করে যে কোনো ধরনের অনিয়মের চিত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পেতে পারেন।

রিপোর্ট প্রকাশ ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হাসিব উদ্দিন হোসাইন, নাসির উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন আহমেদ, শহিদুল আলম, জাকির হোসেন, রাখাল রাহা, মোশাহিদা সুলতানা ঋতু, জাহেদ ইকবাল, গাওহর নঈম ওয়ারা, শামসুল হুদা, আনু মোহাম্মদ, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, বাকী বিল্লাহ, হাসনাত কাইয়ূম, দীপক সুমন, চারু হক প্রমুখ।

লাইট নিউজ

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD