নোয়াখালী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হওয়ায় হাসপাতালের ভেতরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বাইরে রাখা পুরাতন কিছু আসবাপত্র ও মালামাল পুড়ে গেছে।
শনিবার (৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পশ্চিম পাশে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন উপস্থিত লোকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখা ওইসব আসবাপত্রের ভেতর থেকে হালকা ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি আগুনে রূপ নেয় এবং পাশে ছড়াতে শুরু করে। ঘটনাস্থলের পাশে জরুরি বিভাগ থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে উপস্থিত লোকজন ও হাসপাতালের রোগী এবং তাদের স্বজনরা। অনেকেই আতঙ্কে এদিক ওইদিক ছুটাছুটি করতে থাকে।
খবর পেয়ে মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিটের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডে বিদ্যুতের একটি লাইন পুড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের আইসিইউসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রোগীরদের স্বজনরা জানান, এভাবে একটি হাসপাতালের জরুরি সেবার পাশে এই ধরনের মালামালগুলো উন্মুক্ত স্থানে রাখা ঠিক হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে আজ ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারত। সময়মতো ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার কারণে বড় ধরনের বিপদ থেকে সবাই রক্ষা পেয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ইমারজেন্সি কক্ষের পাশের ওই স্থানটিতে সিগারেটের শলা থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করছি। মালামালগুলো আমাদের অকশনের জন্য রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ সেবা সাময়িক বন্ধ আছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ জানান, খবর পাওয়া মাত্রই মাইজদী স্টেশনের দু’টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার জানান, আগুনের খবর পেয়ে সাথে সাথে আমাদের একটি টিম ইতোমধ্যে কাজ করছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মূল লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হতে কিছু সময় লাগবে।