নোয়াখালীর সদর ও হাতিয়া উপজেলায় জ্বর, সর্দি ও শ্বাস কষ্টে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গল ও বুধবার এ দুই দিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুন) সকাল ৭টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান জেলা শহরের লক্ষ্মী নারয়ণপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। তার বয়স (৬৫)। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে মারা যান হাতিয়া উপজেলার চরকিং ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বয়স (৫০) বছর।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও করোনা ফোকাল পার্সন ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, রাত পৌনে ১১টার দিকে জ্বর, সর্দি ও প্রচণ্ড শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত একব্যক্তিকে তার স্ত্রী ও ছেলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে মেডিকেল টিমের সদস্যরা তাকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে নেয়ার সময় গেইটেই মারা যান তিনি। তিনি গত ১৫ জুন থেকে জ্বর, সর্দি ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে ওই ব্যক্তিকে দাহ করা হয়েছে।
নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ও করোনা ফোকাল পার্সন ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে লক্ষ্মীনারায়ণপুরের ওই বাসিন্দাকে অসুস্থ অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলাফল আসার পর জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না।
এর আগে সোমবার রাতে হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন চরমটুয়া ইউনিয়নের এক বাসিন্দা।
লাইট নিউজ