মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বইছে হিমশীতল বাতাস

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে নেমেছে উত্তরের শীতের প্রকোপ। মাঘ আসার আগেই বাঘ কাঁপানো শীতের দাপট দেখাচ্ছে পৌষের শেষ সপ্তাহ। রাতভর হাড়কাঁপানো শীত, সেইসঙ্গে বইছে হিমশীতল বাতাস। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে উত্তরের হিমপ্রবন জেলা পঞ্চগড়ের শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় এ অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার রেকর্ড দেখা যায়।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা ছড়ানো প্রকৃতিতে অনুভূত হচ্ছে প্রকট কনকনে শীতের তীব্রতা। ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার গতিতে বইছে বাতাস। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিন মজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

তারা বলছেন, তাপমাত্রা একই যাচ্ছে না। ওঠানামা করছে। এই ঘন কুয়াশা, মেঘে ঢাকা থাকছে। আবার ভোরে সূর্য দেখা গেলেও হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপতে হচ্ছে। কাজে সমস্যা হচ্ছে, বাতাসে মনে হচ্ছে বরফ ঝরছে। মানুষের পাশাপাশি তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছে গৃহপালিত প্রাণীরাও। শীতের থেকে রক্ষা করতে গরু-ছাগলকে পরানো হচ্ছে পুরোনো কাপড় কিংবা চটের ব্যাগ।

স্থানীয় হানিফ আলী, নাসিরসহ কয়েকজন বলেন, আজকে ভাই ঠান্ডাটা বেশি মনে হচ্ছে। আমরা তো তাপমাত্রা কত তা জানি না। কিন্তু সারারাত এতো ঠান্ডা পড়েছে লেপ আর কম্বল একসঙ্গে নিলেও ঠান্ডা কমাতে পারিনি। মনে হয়েছে তাপমাত্রা জিরো ডিগ্রিতে নেমে এসেছে।

গ্রামের এক নারী বলেন, রাতটা বরফ মনে হয়েছে আজ। প্রচণ্ড থানায় রাতে বিছানা থেকে সব আসবাবপত্র বরফ হয়ে ওঠে। ঘরের ফ্লোর খালি পায়ে পা দেওয়া যায় না। ঘরে রাখা পানি বরফ হয়ে থাকে। পানি ধরলে হাত যেন অবশ হয়ে যায়। আর আজ দিনভর সূর্য দেখা যায়নি। ঠান্ডা বাতাসে কাবু করে তুলেছে আমাদের। সন্ধ্যার পর বাড়ির উঠানে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করি।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে নেমেছে তাপমাত্রা। শুক্রবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় এ অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার রেকর্ড দেখা যায়।

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD