বরাদ্দ বৃদ্ধির সাথে বাজেটের সঠিক ব্যবহারের নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে পরিবার পরিকল্পনার মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে এ্যাডভানস ফ্যামিলি প্লানিং, মেরী স্টোপস বাংলাদেশ ও টিম এসোসিয়েটস।
আজ শনিবার এ্যাডভানস ফ্যামিলি প্লানিং-এর মিডিয়া এডভোকেসি টিম লিডার পুলক রাহা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর পরিবার পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ বাড়লেও সেই অর্থ যথোপযুক্ত ব্যয় হচ্ছে না। ফলে পরিবার পরিকল্পনা সেবাকে কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। সাধারণত এধরনের অবস্থার পরপরই গর্ভধারণকারী, বাচ্চা প্রসব এবং অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ ও অনিরাপদ গর্ভপাতের সংখ্যা তুলনামূলক বৃদ্ধি পায়। তাই, বিশ্ব মহামারীর সময়ে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রতি আলোকপাত করেই কাজ করতে হবে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের সাথে বৈশ্বিক ও দেশীয় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মাতৃ ও কিশোরী স্বাস্থ্য গর্ভকালীণ, প্রসবকালীণ ও প্রসবোত্তর সময়ের বিভিন্ন ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা জরুরী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অপ্রত্যাশিত এই মহামারীর কারণে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচী বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বর্তমানে অপ্রতুল তথ্য সেবা ও অপর্যাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্যসেবার কারণে গর্ভধারণ ও মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়াও চাহিদামাফিক গর্ভনিরোধক সরবরাহে ঘাটতির ক্ষেত্রে আগাম অনুমানের প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে পারে বলেও অনেকেই আশংকা করছেন। তাই এই মহামারীর প্রেক্ষিতে পরিবার পরিকল্পনা ও মাতৃস্বাস্থ্যের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে কেবলমাত্র বাজেট বরাদ্দ যথেষ্ট নয়। বরং বরাদ্দকৃত বাজেট পরিকল্পনা মাফিক ব্যয় করা এবং মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরো কার্যকরী করে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরাদ্দকৃত বাজেটে কার্যকরীভাবে ব্যয় করার জন্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের যে কাঠামো আছে তাকে সক্রিয় করা দরকার। একইসঙ্গে সরকারি কর্মসূচিতে বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ, প্রচার ও পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবার মান উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি সেবা নীতিমালা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব জোরদার করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের বাজেটে যা ছিল ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী বছরের জন্য ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
লাইট নিউজ