যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সাপ্লাইয়ের পানিতে এক প্রকার বিরল অ্যামিবার সন্ধান পাওয়ার পর আটটি শহরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সিএনএন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এককোষী মুক্তজীবী এই প্রাণীটি মানুষের শরীরে ঢুকতে পারলে মস্তিষ্ক ধ্বংস করে দেয়।
এর আগে পাকিস্তানে ‘নাইজেলরিয়া ফ্লাওয়ারি’ নামের এই অ্যামিবার সন্ধান পাওয়া যায়। ২০১২ সালে দেশটিতে এর কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়।
এটি সাধারণত সাঁতারের সময় নাক দিয়ে প্রবেশ করে। ‘নাইজেলরিয়া ফ্লাওয়ারি’কে বিজ্ঞানীরা ‘মগজ-খেকো’ অ্যামিবাও বলে থাকেন।
দ্য টেক্সাস কমিশন অন এনভায়রনমেন্টাল কোয়ালিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবাইকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পানিতে অ্যামিবা পাওয়া গেছে, যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।’
সিএনএন বলছে, ‘নাইজেলরিয়া ফ্লাওয়ারি’ পানির মাধ্যমে ছড়ায়। মস্তিষ্কে ঢুকে স্নায়ু ধ্বংস করে ফেলে। নদী, পুকুর, হ্রদ ও ঝরনার পানি যেখানে উষ্ণ, সেখানে এ ধরনের অ্যামিবা বাস করে।
এ ছাড়া শিল্পকারখানার উষ্ণ পানি পড়ে এমন মাটি ও সুইমিংপুলেও এ ধরনের অ্যামিবার দেখা মেলে। টেক্সাসের পানিতে অ্যামিবার সন্ধান পাওয়ার পর সেখানকার লেক জ্যাকশন, ফ্রিপোর্ট, এনগ্লিটন, ব্রাজোরিয়া, রিচউড, ওস্টার ক্রেক, ক্লুট, রোজেনবার্গ শহরে এরইমধ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
এ অ্যামিবা মস্তিষ্কে ঢুকে পড়লে মারাত্মক কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণ থাকে হালকা মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা, জ্বর ও পেটব্যথা।
ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অ্যামিবায় এখন পর্যন্ত ১৪৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এরমধ্যে মাত্র চার জন বাঁচতে পেরেছেন!
১৯৬২ সাল থেকে ফ্লোরিডায় অ্যামিবার ৩৭টি ঘটনার কথা শোনা গেছে। মারাত্মক ক্ষতিকর এই অ্যামিবা থেকে দূরে থাকতে সাঁতারের সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। নাক দিয়ে যেন কোনোভাবে পানি প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।