রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন

পানির নিচে সিলেট, পশু কিনেও কোরবানি দিতে পারেননি অনেকে

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৭ জুন, ২০২৪

অবিরাম বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ঈদের দিন ভোররাতে আকস্মিকভাবে সৃষ্ট এই বন্যায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেটের মানুষজন। বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করার পাশাপাশি অনেক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন কুরবানির জন্য ক্রয় করা পশু নিয়ে।

ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে হাঁটু থেকে কোমর পানি থাকায় অনেকেই ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি। সেই সঙ্গে কুরবানির পশুকে বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে দিশেহারা হয়ে পড়েন অনেকেই। সোমবার (১৭ জুন) ভোররাতে সিলেটের বেশ কয়েকটি এলাকায় প্লাবন হওয়ার পর অনেকেই ঈদের নামাজ ও কুরবানি দিতে পারেননি।

সিলেট নগরের মিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা ফারহান আমির জামান বলেন, আমার এলাকার রাস্তায় সকালে হাঁটু পর্যন্ত পানি ছিল। বাসাবাড়িতেও পানি ছিল। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আমি ঈদের নামাজ পড়তে পারিনি।

সিলেট নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা আখলাক উদ্দিনবলেন, আমরা বানের পানিতে আটকা পড়েছি। বাসার নিচতলায় কোমর পানি। কুরবানির জন্য একটি গরু কিনেছিলাম। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরু বাসার তিনতলার ছাদে নিয়ে তুলেছি। কোরবানি করার সুযোগ নেই।

সিলেট নগরীর লালাদিঘির পার এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আজীজ বলেন, আমার বাড়ির ঊঠানে ও ঘরে পানি। আমরা কোরবানির জন্য পশু কিনেছিলাম। আজ সকালের যে অবস্থা ছিল তাতে কোরবানি দিতে পারিনি।

একই এলাকার ইমরান আহমদ বলেন, আমার বাসায় কোমর পানি। রাতের বৃষ্টিতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার পার্শ্ববর্তী এক চাচার বাসায় আমার কোরবানির গরুটি নিয়ে রেখেছি। ওই বাসাটি আমার বাসা থেকে একটু উঁচু স্থানে হওয়ায় কোনমতে গরুটি নিরাপদে রাখতে পেরেছি। নিজের বাসায় কোমর পানি।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৭৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৬ মিলিমিটার।

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD