শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০২ অপরাহ্ন
ঝুঁকির মুখে দেশের অর্থনীতি

পৃথিবী জুড়েই র‌্যামিটেন্স যোদ্ধাদের দুর্দিন

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০

লাইট নিউজ প্রতিবেদক : পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ভয়াবহভাবে আঘাত হেনেছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে। এমন অবস্থা অব্যহত থাকলে দেশে অর্থনীতিতে মারাত্বকভাবে হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত বছরের মার্চের তুলনায় এটি প্রায় ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৫ মাসের সর্ব নিম্ন রেমিটেন্স এসেছে গত মার্চে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২০ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মার্চে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। গত বছর একই সময় দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। এদিকে মার্চের আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায়ও রেমিট্যান্স ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমেছে। ফেব্রুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৪৫ কোটি ২২ লাখ ডলার।

করোনাভাইরাসের কারণে এখন পুরো বিশ্ব অবরুদ্ধ হয়ে আছে। বন্ধ রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। রেমিট্যান্স পাঠানো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দেশের জিডিপিতে প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রাখা প্রবাসী আয়ে ধাক্কা লেগেছে। বিশ্বের অনেক দেশে অচলাবস্থায় কারণে বেকার হয়ে যাচ্ছেন প্রবাসীরা। ফলে রেমিট্যান্সে খুব শিগগিরই উন্নতি হবে বলে মনে করছেন না খাত সংশ্নিষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বই এখন অচল। এ সময় রেমিট্যান্স কমাটাই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, আমাদের রেমিট্যান্স আহরণের প্রধান প্রধান যেমন-সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্য, ইতালি, জার্মানিসহ ইউরোপ, আমেরিকার মতো দেশগুলো কঠিন অবস্থায় পড়েছে। অনেক প্রবাসীর চাকরি চলে যাচ্ছে। ফলে ইনকাম নেই বললেই চলে। এমন অবস্থায় প্রবাসীরা দেশে অর্থ পাঠাবে দূরের কথা তাদের খরচ মেটানোই এখন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এটা খুব শিগগিরই স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে না। রেমিট্যান্স আমাদের একটা বড় শক্তি। এটি কমে যাওয়া মানে অর্থনীতির জন্য খুব মারাত্মক ক্ষতি বলে জানান এই ব্যাংকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। যা অর্থবছর হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ।

এর ধারা অব্যাহত রাখতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ প্রবাসীরা যেন সহজে অর্থ পাঠাতে পারে, সেজন্য বেশ কিছু শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

লাইট/ইকে

Please Share This Post in Your Social Media

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD