করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বেকার হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ প্রবাসী। তাদের মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন। বাকিদেরও ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই প্রবাসীরা যেন কোনো ধরনের সংকটের মধ্যে না পড়েন সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ আসছে বলে জানা গেছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এই টাকাগুলো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে দেয়া হবে। পাশাপাশি কোন প্রক্রিয়ায় এবং কীভাবে সেগুলো প্রবাসীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে তা নিয়ে ইতোমধ্যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, সহজ শর্তে এই টাকা থেকে তাদের ঋণ দেয়া হবে। যেন তারা টাকাগুলো দিয়ে দেশে কিছু একটা করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে ২-৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। সুদের হার ২ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে। আর কোনো জামানত ছাড়াই ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি তদারকি করবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। ঋণ দেয়া এবং আদায়ের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে তারাই। এ কাজে স্বচ্ছতার জন্য ঋণ গ্রহীতাকে অবশ্যই বিদেশ থেকে ফেরত আসার প্রমাণ দিতে হবে, যোগ করেন ড. সালেহীন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, যেসব প্রবাসী ইতোমধ্যে দেশে চলে এসেছেন এবং যাদের আনা হবে তাদের সুবিধার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। তারা যেন দেশে আসার পর অসহায় হয়ে না পড়েন সেজন্য এই সহায়তা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বে এক সংকটময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বসবাস করা প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার বাংলাদেশিকে জরুরি ভিত্তিতে ফেরাতে চাপ বাড়ছে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। বৈঠকে কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিতে আনতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।