জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক পাঁচ খুনির অন্তত একজনকে মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকরের আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় শুক্রবার তিনি বলেন, ওয়াদা করছি, মুজিববর্ষের মধ্যে আরও একজন খুনিকে দেশে এনে শাস্তির মুখোমুখি করব। এটা এখন জনগণেরও প্রত্যাশা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘জনতার প্রত্যাশা’ নামে একটি সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১২ জন খুনির ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৬ জনকে দেশে এনে শাস্তির সম্মুখীন করেছি। একজন তো আগেই মারা গেছেন। তিনি বলেন, বাকি ৫ জনের মধ্যে আমাদের প্রার্থনা ছিল যে মুজিববর্ষের মধ্যে অ্যাট লিস্ট একজনকে দেশে এনে বিচারের সম্মুখীন করা।
রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে আনার প্রক্রিয়া ‘বেশ এগিয়েছে’ দাবি করেন আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, পাঁচ জনের মধ্যে দুই জনের ঠিকানা আমরা জানি। এটার ব্যাপারে কাজ করছি। কিছুটা অগ্রসর হয়েছি।
দুই খুনীকে দেশে আনতে দেশে-বিদেশে জনমত গড়ে তোলায় গুরুত্ব আরোপ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সব বাংলাদেশি, প্রবাসী বাংলাদেশি ও মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধ করে বলেন, আপনারা একটা সিগনেচার ক্যাম্পেইন করেন। আমরা যদি কয়েক লক্ষ কোটি লোকের সিগনেচার সংগ্রহ করতে পারি, আমেরিকার জন্য, কানাডার জন্য, তাহলে আমি সিগনেচার সংগ্রহ করে ওই সরকারকে বলব যে দেখ, এত লোক খুনির বিচার চায়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আন্দোলনের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নাই। সামনে উপনির্বাচন। আপনাদের জনমত যাচাই করে দেখেন। দেখবেন, জনগণ শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকেই চায়।
২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সর্বশেষ গত এপ্রিলে পলাতক আবদুল মাজেদ ধরা পড়লে তারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তবে দণ্ডিত পাঁচ খুনি- আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী এখনো পলাতক রয়েছেন। তাদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে আর নূর চৌধুরীর কানাডায় অবস্থান করছেন।
লাইটনিউজ/এসআই