শিক্ষা নিয়ে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, বর্তমান শিক্ষাক্রম হবে সৃজনশীল, মানবিক, চিন্তাশীল আর যোগাযোগ নির্ভর। ফলে বর্তমান প্রজন্মকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদের মগজ ধোলাই করার দিন শেষ হয়ে যাবে। এটা বুঝতে পেরে একটি চক্র পাঠ্যবই নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভিন্ন দেশের ছবি এডিট করে এ দেশের শিক্ষা নিয়ে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে এসব অপপ্রচার চালিয়ে কোন লাভ হবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ইসলামের কখনো ক্ষতি হবে না। ইসলামের নাম তুলে যারা মিথ্যাচার করে, অপপ্রচার চালায়, তাদের অপপ্রচারে কান দেবেন না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতি বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্ত শাসন আর দেখতে চায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর দেশবাসীর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, দেশের সমৃদ্ধি-অগ্রগতি ততদিন অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে খাদ্য, কৃষি, অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে দেশ পিছিয়েছে, সামনে যেতে পারেনি। আমরা তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাব। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাব। দ্রুত এ দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করব।
যারা মন্দ কাজ করছে তাদের উদ্দেশ্য মন্দ এবং পথ মন্দ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, অপপ্রচার দিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রাকে নিশ্চয়ই বন্ধ করা যাবে না। এসব অপপ্রচারগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার আগে সত্যটা যাচাই করে নিন আপনারা। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিতে প্রাথমিক শিক্ষাকে সরকারিকরণ করেছিলেন। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাকে অগ্রণী ভূমিকায় রেখেছেন বলেই বর্তমান প্রজন্ম আমাদের চাইতে অনেক গুন বেশি জানেন।
সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মুসলে উদ্দিন সরকার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড. হেলাল উদ্দিন, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জামাল নাছের, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবদুর রাজ্জাক, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন প্রমুখ। বক্তব্য শেষে বিদ্যালয়ের পাচঁজন সাবেক শিক্ষকের হাতে সম্মাননা তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।