বৈশ্বিক উষ্ণতা না কমলে আবারও ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলো জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, লকডাউনেও কার্বন নিঃসরণের হার কমেনি।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের চলমান দাবানলের জন্যও দায়ী করেছেন জলবায়ু পরিবর্তনকে। সতর্ক করেছেন, প্রতি বছরই বাড়বে দাবানলের ভয়াবহতা।
আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নিচ্ছে মাইলের পর মাইল বনভূমি। কেবল ক্যালিফোর্নিয়াতেই গেলো কয়েক দিনের আগুনে ছাই হয়েছে ৩৪ লাখ একর এলাকা। নজিরবিহীন দাবানল চলছে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের অপর দুই রাজ্য ওরেগন এবং ওয়াশিংটনেও। ধোয়ার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না, বড় শহরগুলোতে।
আগুন জ্বলছে বিশ্বের সবচে বড় রেইনফরেস্ট আমাজনেও। চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনেই দাবানল ছড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার জায়গায়। পরিস্থিতির এমন ভয়াবহতার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা। হুশিয়ারি, বৈশ্বিক উষ্ণতা না কমলে আরও ভয়াবহ হবে সামনের দিনগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ওয়ালিদ আবদালাতি বলেন, ১০ বছর পেছনে তাকান, খেয়াল করে দেখুন তখনকার পরিবেশ কেমন ছিলো আর ২০২০ সালে এসে কোথায় দাড়িয়েছি। সহজেই অনুমান করা যায় ২০৫০ সালে কি হবে। বন্যা, দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আর এসবের জ্বালানি আমরাই তৈরি করে দিচ্ছি।
কার্বন নি:সরণের ভয়াবহতা তুলে ধরে বুধবারই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। যাতে বলা হয়েছে, মহামারি পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যেও কমেনি উষ্ণতা।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, প্রতি ঘণ্টায়ই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে উত্তর মেরুতে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণতা বাড়বে। বিশ্বের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে যে পদক্ষেপ দরকার, তার ধারেকাছেও নেই আমরা। বন উজাড় করার সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের যে সম্পর্ক আমরা দেখতে পাচ্ছি, তা খুবই ভীতিকর। এ অবস্থায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
একইদিন, এক প্রতিবেদনে, প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা WWF বলছে, গেলো ৫ দশকে বিশ্বে বন্যপ্রাণির সংখ্যা কমেছে ৭০ শতাংশ। গেলো ৪ বছরে এই হার সবচে বেশি। কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে বৃক্ষনিধনকে।
লাইটনিউজ