মার্জিন ঋণ দেওয়ার নিয়মে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। ১ অক্টোবরের পরিবর্তে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর করা হবে। প্রথমবারের মতো সূচকের ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শেয়ার কিনতে ঋণ প্রদানের এ নিয়ম চালু হবে।
প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্জিন ঋণ প্রদানের জন্য সম্প্রতি একটি নীতিমালা জারি করেছিল বিএসইসি। নতুন ঐ নির্দেশনায় মার্জিন ঋণের হারে সংশোধন এনে ১ অনুপাত শূন্য দশমিক ৭৫ করা হয়েছে। অর্থাৎ গ্রাহকের নিজস্ব ১০০ টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৭৫ টাকা মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে। পরিবর্তিত নীতিমালা অনুসারে ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজারের নিচে থাকলে গ্রাহকের যত টাকার বিনিয়োগ রয়েছে তার ৭৫ শতাংশ মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে। সূচক ৪০০১ থেকে ৭০০০ পর্যন্ত থাকলে বিনিয়োগের অর্ধেক পর্যন্ত এবং সূচক ৭০০১ বা এর বেশি হলে বিনিয়োগের ২৫ শতাংশ মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে। জেড ক্যাটাগরির শেয়ার মার্জিন ঋণ যোগ্য নয়। এর বাইরে অন্য যে কোনো সিকিউরিটিজের পিই রেশিও ৪০ পার হলে তা মার্জিন অযোগ্য বলে বিবেচিত হতো। নতুন নীতিমালার পাশাপাশি এ নিয়মও কার্যকর থাকবে।
নতুন নির্দেশনায় ৪০০১ থেকে ৭০০০ পয়েন্ট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচকের ক্ষেত্রে ১ অনুপাত শূন্য দশমিক ৫ হারে এবং ৭০০০ পয়েন্টের ওপরে সূচকের ক্ষেত্রে ১ অনুপাত শূন্য দশমিক ২৫ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে বলে বলা হয়েছে। এর আগের নির্দেশনায় সূচক যদি ৪০০১ থেকে ৫০০০ পয়েন্ট পর্যন্ত থাকে তাহলে মার্জিন ঋণের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর ৫০০১ থেকে ৬০০০ পয়েন্ট পর্যন্ত সূচকের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণের হার নির্ধারিত হয়েছিল শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ গ্রাহক ১০০ টাকার বিপরীতে শেয়ার ক্রয়ে ৫০ টাকা ঋণ পাবেন। আর সূচক যদি ৬০০০ পয়েন্টে ওপরে থাকে তাহলে মার্জিন ঋণের হার হওয়ার কথা ছিল শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
লাইটনিউজ