জানা গেছে, ভবনের ভেতরে একটি পরিবারে মা ও মেয়ের ১০ দিন ধরে সর্দি-কাশিসহ করোনাভাইরাসের নানা উপসর্গ পাওয়া গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ফোন দিলে তারা পরিবারটিকে কোয়ারেন্টাইন করার নির্দেশ দেয়। আইইডিসিআর থেকে টেস্টের জন্য লোক আসবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি ভবনের ৩৬ বছর বয়সী মা ও ১৫ বছর বয়সী মেয়ে কয়েক দিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা করোনা সন্দেহে পুলিশকে জানান। আমরা আইইডিসিআরে যোগাযোগ করলে তারা বাড়িটিতে প্রবেশাধিকার ও কারো বের হওয়া নিষিদ্ধ করতে বলেন। তাদের দুজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আমরা পরিবারটির কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করছি। ওই পরিবারের কেউ দেশের বাইরে থেকে ভবনটিতে আসেনি। তারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে কি-না তা এখনও নিশ্চিত নয়। সতর্কতার অংশ হিসেবে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশন এসে বাড়িটি লাল কাপড় দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়।ঐতিহ্যবাহী নানা বিরিয়ানির বিখ্যাত বেচারাম দেওড়ি এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল। সরকারের ঘরে থাকার নির্দেশনার পরেও এই এলাকায় সোমবার পর্যন্ত অনেককেই বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। তবে সকাল থেকে ‘এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে’, এমন গুজবে এলাকার ওষুধের দোকানসহ সব দোকানপাট বন্ধ। কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। এলাকার মসজিদ থেকে কাউকে ঘর থেকে বের না হতে মাইকিং করা হচ্ছে।