দেশে করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর থেকে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কাজকর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্য বর্তমানে সীমিত পরিসরে চালু হলেও তাতে গতি নেই। ফলে কমে গেছে মানুষের আয়-রোজগার। অন্যদিকে, করোনাকালে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় মোবাইল-ইন্টারনেটই হয়েছে যোগাযোগের মাধ্যম। অথচ এই অবস্থার মধ্যেই এবারের বাজেটে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়। বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এমনই প্রেক্ষাপটে সরকার মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার ওপর আরোপিত বর্ধিত ভ্যাট কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১১ জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়। এর পর থেকেই মোবাইল অপারেটরগুলো এসএমএসের মাধ্যমে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির তথ্য গ্রাহকদের জানায় এবং তা কার্যকর করা শুরু করে দেয়। তবে সরকার সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আগের মতোই থাকছে মোবাইল ও ইন্টারনেট খরচ।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার আগে একজন গ্রাহক মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ভ্যাট-ট্যাক্স হিসেবে সরকার পেত ২২ টাকা ৭২ পয়সা। আর প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ বাড়ানোয় মোবাইলে কথা বলার খরচও বেড়ে যায়। অর্থাৎ ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ভ্যাট-ট্যাক্স বাবদ কেটে নেওয়া হয় ২৫ টাকা। এতে বেড়ে যায় মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ।
সূত্র বলছে, দেশে করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। অনেকে কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরসহ ব্যবসায়ী মহল থেকেও বিষয়টি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হতে থাকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়ার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মোবাইল সেবার সম্পূরক শুল্ক আগের অবস্থানেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থবিল পাসের দিন এটি সংশোধন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
লাইটনিউজ/এসআই