মাদারীপুর প্রতিনিধি : শুক্রবার (৩ এপ্রিল) থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায়। ফেরি ও ট্রলারে করে পদ্মা নদী পাড় হতে দেখা গেছে যাত্রীদের। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে শনিবার (৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রী পারাপার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পরপরই ফেরিতে যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এখন সুনসান নীরবতা।
রোববার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকা যাত্রী শূন্য রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শনিবার দিনগত রাত থেকে ফেরিতে যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে কয়েকটি ফেরি চলবে। পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স আর সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি পারাপারের জন্য ২/৩টি ফেরি চালু থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। ঘাট এলাকায় নোঙর করে রাখা হয়েছে ফেরিসহ সব নৌযান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকামুখী যাত্রীদের ফেরাতে ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ওয়াহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে যাতে করে কেউ ঢাকার উদ্দেশ্যে যেতে না পারেন। যাত্রী পারাপার বন্ধ ঘোষণার পর কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় আটকে পড়া যাত্রীদের বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।