রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন চার্জশিটভুক্ত ৫ আসামি। জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন—মোহাম্মদ রাজু, রিয়া বেগম ময়না, বাচ্চু মিয়া, মোহাম্মদ শাহীন ও মুরাদ মিয়া।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সরোয়ার পায়েল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চসহ বিভিন্ন বেঞ্চ থেকে জামিন পেয়েছেন ওই আসামিরা। এর মধ্যে গতকাল সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে জামিন পেয়েছেন মোহাম্মদ রাজু। ইতোমধ্যে রাজুর জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।
রেনুকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আবদুল হক।
চার্জশিটভুক্ত ১৫ আসামি হলেন—মো. ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা (২০), রিয়া বেগম ময়না (২৯), মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মণ্ডল (৫০), মোহাম্মদ কামাল হোসেন (৪০), মোহাম্মদ শাহিন (৩২), মো. বাচ্চু মিয়া (৩৬), মো. বাপ্পী ওরফে শহিদুল ইসলাম (২১), মো. মুরাদ মিয়া (২৬), মো. সোহেল রানা (৩০), আসাদুল ইসলাম (২২), মো. বিল্লাল মোল্লা (৩২), মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন (২৩), মো. মহিউদ্দিন (১৮), মো. জাফর হোসেন পাটোয়ারী (১৭), ওয়াসিম ওরফে মো. অসীম আহম্মদ (১৪)। তাদের মধ্যে মো. মহিউদ্দিন পলাতক রয়েছেন। বাকি ১৪ আসামি কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন তাসলিমা বেগম রেনু। দুই সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে স্কুলের ফটকে কয়েকজন নারী তাসলিমার পরিচয় জানতে চান। পরে লোকজন তাসলিমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাইরে কয়েকশ লোক একত্র হয়ে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায়। স্কুলের ফাঁকা জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তাসলিমার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
লাইটনিউজ