করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। আগামী ৩ মে পর্যন্ত জারি থাকবে এ পরিস্থিতি। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ঘরবন্দি প্রায় সবাই। কিন্তু এরই মধ্যে দেশটিতে খাদ্য ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাই কৃষিখাত ও কৃষি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ মানুষকে কাজে ফেরার অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে দেশটির সরকার। কয়েকটি রাজ্যে শিথিল করা হচ্ছে লকডাউন।
এ বিষয়ে আজ সোমবার রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত কৃষিখাত ও কৃষি বাণিজ্যকে সচল রাখার লক্ষ্যেই সীমিত আকারে লকডাউনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে কৃষি খামার, ক্ষেতের কাজ ও মংস্য খামারের সঙ্গে জড়িতরা আজ থেকে কাজে ফিরতে পারবেন। পাশাপাশি কৃষিপণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকগুলোকেও রাজ্যের সীমানা পারাপার করতে দেওয়া হবে।
কৃষিখাতের পাশাপাশি রাজ্যভেদে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকরাও আজ থেকে কাজে ফিরতে পারবেন। যেমন- রাস্তা সংস্কার, ভবন নির্মাণের মতো কাজ। তবে সব রাজ্যে সমানভাবে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে না। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে একেক রাজ্যে একেক রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের যেসব জেলায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কম, সেসব জেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কেরেলার কিছু কিছু জায়গায় সীমিত আকারে ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রেস্তোরাঁ খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু রাজধানী নয়াদিল্লি, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবসহ বিভিন্ন রাজ্যে আগের মতোই লকডাউন পরিস্থিতি জারি থাকবে। ফলে সেসব রাজ্যের বাসিন্দাদের আপাতত ঘরেই বন্দি থাকতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধি নিষেধ কিছুটা শিথিল করার করণে শ্রমিকরা ফসল উৎপাদন করে খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতে পারবে এবং দিন মজুররা তাদের অর্থনৈতিক অভাব কাটিয়ে উঠতে পারবে।
ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন মোট ৫৫৯ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি।