স্পোর্টস ডেস্ক : সময় যত ঘনিয়ে আসছে, শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে জটিলতা ততই বাড়ছে। করোনাভাইরাসের মধ্যে সফর করতে হলে টাইগারদের দ্বীপরাষ্ট্রটির দেওয়া কঠিন নিয়মকানুন মেনেই চলতে হবে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) সফর নিয়ে কঠিন শর্ত বেধে তাদের নীতিমালা পাঠিয়ে দিয়েছে।
নীতিমালার অন্যতম বিষয় হলো টাইগারদের অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। অংশ নিতে হবে পিসিআর টেস্টে। এ ছাড়া বিসিবি এসএলসিকে অনুরোধ করেছিল জাতীয় দলের সঙ্গে এইচপি দলসহ ৬৫ সদস্যের দল নিয়ে যেতে। কিন্তু লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড সেটি বাতিল করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, শুধু জাতীয় দলের সঙ্গে কর্মকর্তাসহ সর্বোচ্চ ৩০ সদস্য সফর করতে পারবেন শ্রীলঙ্কায়।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া নীতিমালা অনুযায়ী এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিসিবি। বিসিবি পরিচালক ও এইচপি চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয় আজ রোববার বিকেলে গণমাধ্যমে বলেন, ‘আসলে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আজকের আলাপে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় যাওয়া যায়নি। আমরা দুটো বোর্ডই অবজারভেশনগুলো দিচ্ছি। যেহেতু এখানে শ্রীলঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা, সুতরাং তাদের আদেশের বাইরে তো যাওয়া যাবে না। সেই আলাপ আলোচনাটাই চলছে।’
শ্রীলঙ্কান বোর্ডের চিফ অপারেটিং অফিসার অ্যাশলি ডি সিলভা দেশটির গণমাধ্যম সানডে অবজারভারকে নীতিমালা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে এরই মধ্যে বিসিবিতে সফরে স্বাস্থ্যবিষয়ক নীতিমালা পাঠানো হয়েছে। ডি সিলভা বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্যবিষয়ক নীতিমালা পেয়েছি। সেটা আমরা গতকালই পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন এই নীতিমালা ভালো করে বুঝেশুনে বিসিবিকে আমাদের জানাতে হবে। তাদের প্রস্তুতির বিষয়টিও অবশ্যই আমাদের অবহিত করতে হবে।’
এইচপি দলের সফরের বিষয়টি শ্রীলঙ্কা বাতিল করে দিলেও বিসিবি এখনো সেটা ধরেই এগোচ্ছে। দুর্জয় বলেন, ‘জাতীয় দল এবং এইচপির যে শ্রীলঙ্কাতে একসাথে খেলার আমাদের যে প্ল্যান, সেটা এখনো আমরা আছি। শ্রীলঙ্কা বোর্ড ও আমাদের বোর্ড অনেক ক্ষেত্রে একমত ছিল, সেখানে শ্রীলঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিছু অবজারভেশন দিয়েছে, যার কারণে আমাদের একটু স্লো এগোতে হচ্ছে। যোগাযোগটা আরও বাড়াতে হচ্ছে, আজকেও আমরা বসেছিলাম। অবজারভেশনগুলো পাওয়ার পর বসেছি, আমরা আবার আমাদের অবজারভেশনগুলো তাদেরকে দিব।‘
তবে সফর নিয়ে শঙ্কা দেখছেন না বিসিবির এই পরিচালক। তিনি বলেন, আসলে আপনি খেলতে চাচ্ছেন কিন্তু খেলার পরিবেশটাতো থাকতে হবে। সেই পরিবেশটা তৈরি এবং সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে যেন আমরা খেলতে পারি। ৬-৭ মাস খেলার বাইরে সেক্ষত্রে টেস্ট ম্যাচ খেলাটা, সেই টেস্টের প্রস্তুতিটাও ঠিকঠাক আমরা করতে না পারি সেটাতো কঠিন হবে। আমরা দুই বোর্ডই আন্তরিক আছি সবকিছু ঠিকঠাক করে যেন মাঠে নামতে পারি।