লাইট নিউজ প্রতিবেদক : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তি খাদ্য সংকটের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে করোনাভাইরাস। পৃথিবী জুড়েই দেখা দিতে পারে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি। ফলে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি বাড়াতেই হবে। আর উৎপাদন বৃদ্ধি হলে অন্যান্য দেশের কাছে আর হাত বাড়াতে হবে না। তখন যে কোনো সংকটকালীন সময়ে আমরাই সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারবো।
তিনি বলেন, সকল ধরনের সংকটময় সময়কে মোকাবিলা করতে উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। এর জন্য আমাদের সব সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল ২০২০) গণভবন থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তাদের সথে অনলাইন কনফারেন্সে সময় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বে একটি প্রলয় সৃষ্টি করেছে। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। সারাবিশ্ব আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। আমরা শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। সে জন্য আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে একটা স্থবিরতা চলে এসেছে। ফলে আমরা অর্থনৈতিক যে গতিশীলতা সৃষ্টি করেছিলাম সেটাও অনেকটাই থেমে গেছে। শুধু আমাদের দেশেই না সারাবিশ্বে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যে ধরনের দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তারপর কোটি কোটি লোক মারা গিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমরাও একই অবস্থার সম্মুখীন হয়েছিলাম। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমি সকলকে সে আহ্বান জানাচ্ছি।